প্রকাশ‍্য মঞ্চ থেকে ফের হুমকি দুই বিজেপি নেতা : ভাষা সন্ত্রাস বলছে তৃণমূল

20th September 2020 5:05 pm বাঁকুড়া
প্রকাশ‍্য মঞ্চ থেকে ফের হুমকি দুই বিজেপি নেতা : ভাষা সন্ত্রাস বলছে তৃণমূল


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'কোতুলপুর, ইন্দাস, পাত্রসায়রে মস্তানীরাজ চলে'। শুধু এই লোকাল মস্তানদের উদ্দেশ্যে নয়, 'বড় বড় মস্তান'  অনুব্রত মণ্ডল, জীতেন তেওয়ারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ববি হাকিম আপনারা আগামী দিনে বিকাশ দুবে হয়ে যেতে পারেন। তখন আমাদের দোষ দিতে পারবেন না'। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের  রামডিহায় এক কর্মীসভায় এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি ও রাঢ় বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রাজু ব্যানার্জী। এরপরেই রাজ্য পুলিশকেও এক হাত নেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তৃণমূলের গুণ্ডাদের হাতে আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছে। একজন তৃণমূলী গুণ্ডাকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই 'দূর্ণীতি যুক্ত পুলিশ, আইনের শাসন না মানা পুলিশ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বিরোধী পুলিশদের জুতো চাটা করা'নোর হুমকি দেন তিনি। এদিনের সভায় উপস্থিত বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জীর পাশাপাশি বিস্ফোরক দলের নেতা-অভিনেতা সুমন ব্যানার্জীও। মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আর মাত্র ছ'মাস সময় আছে। মুখ্যমন্ত্রী ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার কথা বলেছেন। তারা সেন্টিমিটারে সেন্টিমিটারে বুঝে নেবেন বলেও তিনি দাবি করেন। এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ওঁদের 'ভাষাজ্ঞান নেই, এই ভাষার উপর ওঁরা পি.এইচ.ডি করেছেন। এমনকি পোষ্ট ডক্টরেটও করছেন অনেকে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। মানুষ তাদের পাশেই রয়েছে । কুরুচিকর মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা ছাড়া ওঁদের কোন উদ্দেশ্য নেই বলেও তিনি দাবি করেন। ভাষা সন্ত্রাস তৈরী করছেন বিজেপি নেতারা । হিংসা ছড়াচ্ছেন বলেও জানান শ‍্যামল সাঁতরা ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।